স্বদেশ ডেস্ক:
যশোরের বেনাপোল সীমান্ত এলাকায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) গুলি চালাতে পারে—এমন আশঙ্কায় বেনাপোলে উচ্চ সতর্কতা জারি করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। সীমান্ত এলাকায় না যেতে বেনাপোলের বিভিন্ন পয়েন্টে মাইকিং করা হয়েছে। এ ঘটনায় সীমান্তের পথ-ঘাট অনেকটাই ফাঁকা রয়েছে, গ্রামগুলোতে থমথমে অবস্থা রয়েছে।
গতকাল বুধবার দুপুরে সতর্কতামূলক মাইকিং করা হয়। এ ঘোষণায় আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সীমান্তে ফসলের জমিতে তেমন কাউকে দেখা যায়নি।
বিজিবি জানায়, গত সোমবার রাতে মহেশপুর সীমান্তে ভারতের অভ্যন্তরে এক বিএসএফ সদস্যকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। বিএসএফ দাবি করছে, হামলাকারী দুর্বৃত্তরা বাংলাদেশি। প্রতিশোধ নিতে বিএসএফ সাধারণ বাংলাদেশিদের ওপর গুলি চালাতে পারে।
বেনাপোল পৌরসভার কাউন্সিলর সুলতান আহমেদ বাবু বলেন, ‘আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বেনাপোলের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় সীমিত আকারে জনগণ চলাচল করছেন। মাইকিংয়ের পর থেকে সীমান্তবর্তী চাষিরা তাদের ফসলের ক্ষেতে যেতে পারছে না। সন্ধ্যার পরপরই লোকজন বাড়িতে ঢুকে পড়েছে। কোনো বিশেষ কারণ ছাড়া সন্ধ্যার পরে কেউ বাড়ির বাইরে বের হচ্ছে না। বিজিবির টহল ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।’
ভারতের সিএন্ডএফ স্টাফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শ্রী কার্তিক চক্রবর্তী জানান, ভারতীয় সীমান্তবর্তী এলাকায় সন্ধ্যার পর কাউকে বাড়ির বাইরে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে। রাতে সীমান্তের খুব কাছাকাছি কাউকে দেখা গেলে গুলি করার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। বিএসএফ রাতে সীমান্তের অবজারভেশন টাওয়ার থেকে বাংলাদেশের ভেতর হাই পাওয়ারের সার্জ লাইট দিয়ে পর্যবেক্ষণ করছেন।
৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের বেনাপোল আইসিপি ক্যাম্পের কামান্ডার সুবেদার মিজানুর রহমান বলেন, বিএসএফ বাংলাদেশ সীমান্তে নিরীহ মানুষের ওপর গুলি চালাতে পারে যেকোনো সময়। বিজিবিকে সতর্কাবস্থায় রাখা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কোনো বাংলাদেশি বেসামরিক লোক যেন সীমান্তে না যায়, সেজন্য উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। তবে দুই দেশের মধ্যে আমদানি, রপ্তানি ও পাসপোর্ট যাত্রী পারপার স্বাভাবিক রয়েছে।